যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৩

সংসদদের সঙ্গে খালেদার বৈঠক মুলতবি ঘোষনা

মুলতবির পর সংসদের ১৯তম অধিবেশন বসার আগের রাতে বিরোধীদলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেনখালেদা জিয়া। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে কিছু সময় আলোচনার পর বৈঠকটি মুলতবি করেন বিরোধীদলীয় নেতা।বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা।
টানা ১৩ দিন মুলতবির পর বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বসছে সংসদ অধিবেশন। গত ৯ অক্টোবর অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার।বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ১৯তম অধিবেশন শুরু হয়। ওই দিন কার্য উপদেষ্টা কমিটি আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অধিবেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।তবে বুধবার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বলেছেন, ২৪ অক্টোবরের পরও অধিবেশন চলবে। তবে এতে সরকারি দলের ‘দুরভিসন্ধি’ রয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ ফারুক  জানান, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংসদের বিষয়ে আলোচনা করতে বিরোধীদলীয় নেতা এই সভা আহ্বান করেন।বৈঠকে জমিরউদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, মোশাররফ হোসেন, বরকতউল্লাহ বুলু, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসিনা আহমেদ ও রুমানা মাহমুদ, রেহানা আখতার রানু, সৈয়দ আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলোফার চৌধুরী, রাশেদা বেগম হীরা, শাম্মী আখতার ছিলেন।
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অলি আহমদ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর এ এন শামসুল ইসলামসহ মোট ৩৭ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।সর্বশেষ গত বাজেট অধিবেশনের (১৮তম) প্রায় পুরোটা সময় বিএনপি থাকলেও চলতি অধিবেশনে তারা অংশ নেয়নি ।

শেখ হাসিনা বললেন নির্বাচনে সব দলকে চাই

alt
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সব দলকে নিয়ে তিনি নির্বাচনে যেতে চাইলেও তাতে বিরোধী দলই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে মতদ্বন্দ্বের মধ্যে মঙ্গলবার দিনাজপুরে এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহণ না করে খালেদা জিয়া সোমবার পাল্টা নির্দলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।
ওই প্রস্তাবের পরদিন দিনাজপুর গোরা শহীদ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সব দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আর এ জন্য সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।”
বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আমাদের প্রস্তাব উনার (খালেদা জিয়ার) পছন্দ হল না। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি চান না। আমরা দেশকে সামনে নিতে চাই, আর তিনি পেছনে নিতে চান।”বিএনপি চেয়ারপারসন ১৯৯৬ ও ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পাঁচজন বিএনপি এবং পাঁচজন আওয়ামী লীগ মনোনীত করবে। সরকারের প্রধান মনোনীত হবেন দুই দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে।সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হবে। তবে তাতে আপত্তি জানিয়ে নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব বিরোধী দলের।অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় বসাতে নারাজ শেখ হাসিনা জনসভায়ও  বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।
জনসভায় বক্তব্যে গত পৌনে ৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে আগামী নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে ভোট চান তিনি।নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এভাবে ভোট চাওয়ার সমালোচনা করে আসছে বিএনপি। তারা একে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন বলে দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, তা এর আওতায় পড়ে না।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে আবার জঙ্গিবাদ ফিরবে দাবি করে ভোট দেয়ার সময় তা মনে রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।দিনাজপুরে জনসভাস্থলে বসেই বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং কয়েকটির ভিত্তিস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।  আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন তিনি

বাংলা আমার: খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্রের পথ সুগম ও সুন্দর করতে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আনার লক্ষ্যেই তিনি দলটির প্রধানের সঙ্গে শিগগির টেলিফোনে কথা বলবেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণতন্ত্র রক্ষায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।দেশের চলমান সংকট নিরসনে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তাতে এখনও সাড়া মিলছে না বিএনপির পক্ষ থেকে। উল্টো বিরোধী দলের নেত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সমকালকে বলেন, বৈঠকে গত শুক্রবারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণকে স্বাগত জানান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিরোধী দলের জল ঘোলা করার কোনো মানেই হয় না।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছি। বিরোধী দলের উচিত, কোনো ধরনের সংঘাতের দিকে না গিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাদের নির্বাচনে আনতে ওই দলের প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সংবিধান অনুযায়ী প্রস্তাব দিয়েছি। এখনও সমঝোতার দরজা খোলা আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে। তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নয়, যা হবে সংবিধান অনুযায়ী। আগামী দিনে নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণের কথা সর্বদাই ভেবেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বললে আলাপ-আলোচনা করে বলবেন। জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।সরকারের মেয়াদের এটি শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক নয় :অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কবে থেকে শুরু হবে এবং সে সময় মন্ত্রিসভার বৈঠক চলবে কি-না, তা নিয়ে সৃষ্ট কৌতূহলের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক আরও হবে। গতকাল বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি বিদায়ী বৈঠক ছিল না, শেষ বৈঠকও নয়। আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানমতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়নি। সোমবারের এ বৈঠক সরকারের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের বাইরে অনুষ্ঠিত হলো। অন্তর্বর্তী সরকার কবে শুরু হবে বা সরকারের মেয়াদ নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এ বিষয়ে সংবিধানের ৯২, ৫৭ ও ১২৩ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে

আ. লীগের সংবাদ সম্মেলন বুধবার

আ. লীগের সংবাদ সম্মেলন বুধবারবিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আওয়ামী লীগ।
 আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার বেলা ১১টায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
 গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিনের মাথায় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা ২০ উপদেষ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ পাঁচজন ও বিএনপি পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্রের পথ সুগম ও সুন্দর করতে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আনার লক্ষ্যেই তিনি দলটির প্রধানের সঙ্গে শিগগির টেলিফোনে কথা বলবেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণতন্ত্র রক্ষায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।দেশের চলমান সংকট নিরসনে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তাতে এখনও সাড়া মিলছে না বিএনপির পক্ষ থেকে। উল্টো বিরোধী দলের নেত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সমকালকে বলেন, বৈঠকে গত শুক্রবারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণকে স্বাগত জানান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিরোধী দলের জল ঘোলা করার কোনো মানেই হয় না।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছি। বিরোধী দলের উচিত, কোনো ধরনের সংঘাতের দিকে না গিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাদের নির্বাচনে আনতে ওই দলের প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সংবিধান অনুযায়ী প্রস্তাব দিয়েছি। এখনও সমঝোতার দরজা খোলা আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে। তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নয়, যা হবে সংবিধান অনুযায়ী। আগামী দিনে নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণের কথা সর্বদাই ভেবেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বললে আলাপ-আলোচনা করে বলবেন। জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।সরকারের মেয়াদের এটি শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক নয় :অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কবে থেকে শুরু হবে এবং সে সময় মন্ত্রিসভার বৈঠক চলবে কি-না, তা নিয়ে সৃষ্ট কৌতূহলের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক আরও হবে। গতকাল বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি বিদায়ী বৈঠক ছিল না, শেষ বৈঠকও নয়। আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানমতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়নি। সোমবারের এ বৈঠক সরকারের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের বাইরে অনুষ্ঠিত হলো। অন্তর্বর্তী সরকার কবে শুরু হবে বা সরকারের মেয়াদ নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এ বিষয়ে সংবিধানের ৯২, ৫৭ ও ১২৩ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে

সিরাজগঞ্জে বিএনপির হরতালে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা

সিরাজগঞ্জে বিএনপির হরতালে বিক্ষিপ্ত সহিংসতাসিরাজগঞ্জে বিএনপির হরতালে বিক্ষিপ্ত সহিংসতাজেলা বিএনপি বলছে, নেতাকর্মীদের নামে 'মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানির' প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি।
বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্য দিয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়েছে সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপির ডাকা মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতাল।
নেতাকর্মীদের নামে 'মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির' প্রতিবাদে সোমবার সকালে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল পৌনে ৭টার দিকে শহরের টুকু ব্রিজের ওপর ও ফজলুল হক সড়কে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
 এছাড়া, সকালে জগাইমোড় এলাকায় পিকেটারদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলার এনায়েতপুরের কেজির মোড়েদুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে পিকেটাররা।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, পিকেটাররা গলির মধ্যে চোরাগুপ্তাভাবে পিকেটিং করেছে।সকালে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি হাবিবুল।জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টার মিলাদুল হুদা জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক থাকায় হরতাল মনে হয়নি। 
ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জে রোববার বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি।মিছিল থেকে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশ ভ্যান ও ক্লিনিক ভাংচুরের ঘটনায় ৬ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়। ওই রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।