যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৩

বাংলা আমার: খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্রের পথ সুগম ও সুন্দর করতে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আনার লক্ষ্যেই তিনি দলটির প্রধানের সঙ্গে শিগগির টেলিফোনে কথা বলবেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণতন্ত্র রক্ষায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।দেশের চলমান সংকট নিরসনে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তাতে এখনও সাড়া মিলছে না বিএনপির পক্ষ থেকে। উল্টো বিরোধী দলের নেত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সমকালকে বলেন, বৈঠকে গত শুক্রবারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণকে স্বাগত জানান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিরোধী দলের জল ঘোলা করার কোনো মানেই হয় না।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছি। বিরোধী দলের উচিত, কোনো ধরনের সংঘাতের দিকে না গিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাদের নির্বাচনে আনতে ওই দলের প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সংবিধান অনুযায়ী প্রস্তাব দিয়েছি। এখনও সমঝোতার দরজা খোলা আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে। তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নয়, যা হবে সংবিধান অনুযায়ী। আগামী দিনে নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণের কথা সর্বদাই ভেবেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বললে আলাপ-আলোচনা করে বলবেন। জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।সরকারের মেয়াদের এটি শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক নয় :অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কবে থেকে শুরু হবে এবং সে সময় মন্ত্রিসভার বৈঠক চলবে কি-না, তা নিয়ে সৃষ্ট কৌতূহলের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠক আরও হবে। গতকাল বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি বিদায়ী বৈঠক ছিল না, শেষ বৈঠকও নয়। আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানমতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়নি। সোমবারের এ বৈঠক সরকারের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের বাইরে অনুষ্ঠিত হলো। অন্তর্বর্তী সরকার কবে শুরু হবে বা সরকারের মেয়াদ নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এ বিষয়ে সংবিধানের ৯২, ৫৭ ও ১২৩ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাতির উদ্দেশে ভাষণে সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন